বেশ রুদ্ধশ্বাস লড়াই। পরনে একটা অধোবাস ছাড়া আর কিছু নেই।
হাজার হাজার মানুষ এমন ভাবেই পরস্পরের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন। কে হারে-কে জেতে— এমন টেনশন। জাপানে এই দৃশ্য কিন্তু বছরে একবার দেখা যাবেই। তবে এই লড়াইয়ে নারীরা ব্রাত্য। কেববল বালক আর পুরুষদের জন্যই খোলা রয়েছে ‘হাকাদা মাৎসুরি’-র দরজা।
‘হাকাদা মাৎসুরি’ জাপানের এক অতি প্রাচীন উৎসব। প্রতি বছর বেশ কয়েক হাজার বালক আর পূর্ণবয়স্ক পুরুষ এতে অংশ নেন। এক সুবিশাল কুস্তির রিংয়ে তাঁরা কটিমাত্র বস্ত্রাবৃত হয়ে শুরু করেন লড়াই। পরনে থাকে ‘ফুন্দোশি’ নামের ট্র্যাডিশনাল অধোবাস। তাঁদের এই লড়াইয়ের উদ্দেশ্য একটাই, কে জিতে নেবেন আগামি এক বছরের সৌভাগ্য।
এই পরম্পরাগত লড়াইয়ের কেন্দ্রে রয়েছে একটি তাবিজ। জাপানিদের ধারণা, এই তাবিজটি দখল করতে পারলে এক বছরের জন্য সৌভাগ্য হাতের মুঠোয়। প্রতি বছর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয় ওকায়ামার সাইদাজি মন্দিরে। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা প্রথমে ঠান্ডা পানিতে স্নান করে শুদ্ধ হন। তার পরে মন্দিরে প্রণাম সারেন। সমবেত সমাগমের উপরেই পুরোহিত তাবিজটি ছুড়ে দেন।
তার পরে শুরু হয় লড়াই। যদি কেউ জ্ঞান হারান বা অন্য কোনও মেডিকেল এমার্জেন্সি দেখা দেয়, তার জন্য প্রতিযোগিরা ফুন্দোশির কোঁচড়ে নিজেদের নাম-ঠিকানা লিখে রাখেন। গত ৫০০ বছর ধরে উদযাপিত হয়ে আসছে এই উৎসব। না, লড়াই থাকলেও এই ৫০০ বছরে কোন বৈরিতা জন্ম নেয়নি হাকাদা মাৎসুরি-র অঙ্গন থেকে।
৯০০০ মানুষ পোশাক খুলে যে কারণে জড়ো হলেন!
Reviewed by BD News
on
অক্টোবর ০৩, ২০১৭
Rating:
Reviewed by BD News
on
অক্টোবর ০৩, ২০১৭
Rating:

কোন মন্তব্য নেই: