পিতামাতাকে হত্যার দায়ে ঐশী রহমানকে বিচারিক আদালত মৃত্যুদণ্ড দিলেও পাঁচ কারণে উচ্চ আদালত সাজা কমিয়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। এ মামলার ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় গতকাল প্রকাশ হয়েছে।
৭৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে আদালত আসামিকে পাঁচ কারণে সাজা কমানোর ব্যাখ্যা দিয়েছে। ৫ জুন এ মামলার রায় দেয় বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ। ঐশীর সাজা কমানোর পাঁচটি কারণ হলো—
১. জোড়া খুন সংঘটনে আসামির সুস্পষ্ট কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। তিনি মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত ও অ্যাজমাসহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ২. ঐশীর নানী ও মামার মধ্যে মানসিক রোগের লক্ষণ আছে। ৩. ঘটনার সময় আসামি ১৯ বছর বয়সী ছিলেন। সাবালকত্ব অর্জনের পরপরই তিনি হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত করেন। ৪. তার বিরুদ্ধে অতীতে ফৌজদারি অপরাধের নজির নেই। ৫. ঘটনার দুই দিন পর তিনি থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন।
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার দায়ে এই দম্পতির একমাত্র কন্যা ঐশী রহমানকে ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেয় ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর হাই কোর্টে ঐশী আপিল ও জেল আপিল করেন।
এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হিসেবেও মামলাটি হাই কোর্টে আসে। ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট মালিবাগের চামেলীবাগের বাসা থেকে স্ত্রী স্বপ্না রহমানসহ মাহফুজুর রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান ওইদিনই পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন।
পাঁচ কারণে ফাঁসি থেকে রেহাই পেল ঐশী
Reviewed by BD News
on
অক্টোবর ২২, ২০১৭
Rating:
Reviewed by BD News
on
অক্টোবর ২২, ২০১৭
Rating:

কোন মন্তব্য নেই: